কক্সবাজার জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
কক্সবাজার জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর বৃহত্তম শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে সব প্রকার প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
এ বছর জেলার মোট ১৫১ টি পূজা মণ্ডপে ২০ জন করে ৩০২০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সঙ্গে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাম্ম মন্দিরে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি উজ্জ্বল কর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এবার কক্সবাজার জেলায় ৩১৫ টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় ১০ টি বেশি। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা বেড়েছে মাত্র একটি। অপর ৯ টি ঘটপূজা। জেলায় মোট ১৫১ টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৪ টি ঘটপূজা হবে। পূজা শান্তিপূর্ণ করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
আগামী ২৪ অক্টোবর সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিবছরের মতো অনুষ্ঠিত হবে প্রতিমা বিসর্জন। আর এই বিসর্জন অনুষ্ঠানটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ জানান, এরইমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে নামাজের সময়সূচি দেয়া হয়েছে। এ সময়সূচি প্রতিটি মণ্ডপে প্রদর্শিত থাকবে। নামাজের সময় অবশ্যই মাইক, ঢাক-ঢোল বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা রতন দাশ, দীপক শর্মা দীপু বক্তব্য রাখেন।
পূজার সার্বিক বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পূজা শান্তিপূর্ণ করতে পূজা উদযাপন পরিষদকে নিয়ে প্রশাসনের সমন্বয় সভা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার থাকবে। পুলিশের টহল জোরদার থাকবে। সাদা পোশাকে বাড়ানো হবে নজরদারি। তিনি আশা করছেন জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
পাঠকের মতামত